নবাইবটতলা ধর্মপল্লীতে পিমে মিশনারী ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে’র সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

গত ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে, নবাইবটতলা ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে, পিমে এর  সুবর্ণ জয়ন্তী  উদযাপন করা হয়।

পবিত্র খ্রিস্টযাগ এর মধ্যদিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন শুরু হয়। পবিত্র খীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন জুবলী পালনকারী ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে পিমে।

ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে, পিমে তার উপদেশে বলেন, ‘আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত কারণ ঈশ্বর আমাকে প্রচুর পরিমানে আশির্বাদ করেছেন আর তাই আমি তার অনুগ্রহে ৫০ বছরের জুবলী পালন করতে পারছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেক গরীব পরিবারের একজন সন্তান, ঈশ্বরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যাজক হয়ে প্রভূর দ্রাক্ষাক্ষেত্রে কাজ করছি। এ জন্য অমিও যীশুর মতো সেই গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। আজকের এই দিনে আমার জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন।’

ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে’র জন্ম  ১৯৪১ খ্রীষ্টাব্দে, ইতালির সির্দা শহরে। তারা ১৪ জন ভাইবোন তার মধ্যে তিনি ৯তম।

তিনি ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দ যাজকীয় অভিষেক লাভ করেন। তিনি তার মিশনারী কাজের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসেন। এই ৫০ বছর যাজকীয় জীবনে তিনি তার পালকীয় কাজে সেবা দিয়েছেন ইতালির আসিসিতে, ভারতে এবং বাংলাদেশে।

পালপুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার মাইকেল বলেন, ‘ফাদার আরতুরো  ঈশ্বরের একজন বিশ্বস্থ যাজক । আমি অনেক কাছে থেকে ফাদারের পালকীয় কাজের যে স্পৃহা তা অভিজ্ঞতা করেছি। গরীব- অসহায়, অবহেলিত মানুষের প্রতি তার ভালবাসা ও দরদ অনেক বেশি।’

নবাইবটতলা  ধর্মপল্লীর খ্রীষ্টভক্তদের মধ্য থেকে মিসেস স্কলাসস্টিকা বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় ফাদার আমাদের নবাইবটলা ধর্মপল্লীর জন্য আশির্বাদস্বরূপ। তিনি আমাদের আধ্যাত্মিক যত্নে অনেক বেশি  উদার।’

এছাড়া গির্জা মাস্টার কার্লুস বলেন, ‘ফাদার আরতুরোর যাজকীয় জীবনের ৫০ বছর পূতির্তে  আমরা অনেক আনন্দিত। তিনি আমাদের ধর্মপল্লীতে যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে আছেন।’

খ্রষ্টিযাগের পর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রদ্বেয় ফাদারকে সম্বর্ধনা  দেওয়া হয়। এ সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ১০ জন ফাদার ১৫ জন সিস্টার ও প্রায়  ৪০০জন খ্রীষ্টভক্ত  অংশগ্রহণ করেন।- ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন

Add new comment

1 + 19 =