নেদারল্যান্ড রাজার বিশেষ সম্মাননা ‘অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা কিং’ পেলেন ব্রাদার গিউম

অ্যাওয়ার্ড হাতে ব্রাদার গিউম এই ছবিটি তুলেছেন সুমা রোজারিও

গত ৪০ বছর ধরে ব্রাদার গিউম বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এই চল্লিশ বছরে ব্রাদার গিউম বাংলাদেশের মানুষজনদের বিশেষ করে পথশিশু, প্রতিবন্ধী এবং আদিবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সেই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রাদার গিউম পেলেন ‘অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা কিং’ সম্মাননা।

ব্রাদার গিউম ১৯৪৬ সালরে ১৫ এপ্রিল নেদারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৪ বছর।

গিউম একজন তেইজে ব্রাদার। তিনি মিশনারি সেবাদানের জন্য ১৯৭৬ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন।

প্রথমে তিনি দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়ার জন্য তরুণদের সাথে চট্টগ্রামে তাঁর কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি বাঙালি ও আদিবাসী তরুণদের প্রশিক্ষণ সেমিনার আয়োজন করেন। তিনি চট্টগ্রামে পাঁচ বছর, ঢাকায় ছয় বছর এবং ময়মনসিংহে ২৫ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন।

প্রতিবছর নেদারল্যান্ডের রাজা ২৭ এপ্রিল কিংস ডে উপলক্ষ্যে এই পুরস্কার দিয়ে থাকেন। এবছর করোনা মহামারির কারণে কিংস ডে উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়নি।

তাই গত ৯ অক্টোবর ২০২০, পুরনো ঢাকার আরমেনিয়া চার্চ-এ সন্ধ্যা ৬টায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকল স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা এবং বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন নেদারল্যান্ড-এর রাষ্ট্রদূত মি. হ্যারি। মি. হ্যারির কথা বাংলায় ভাষান্তর করেন লেখক সঞ্জীব দ্রং।

নেদারল্যান্ড-এর রাষ্ট্রদূত মি. হ্যারি এবং উনার স্ত্রী আকিয়া ওকামা ছাড়াও সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাদার এরিক, লেখক, কলামিস্ট ও আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, মিসেস মিতালি চিসিম, নকমান্দির প্রতিনিধি প্রতাব রেমা, ফাদার মল্লিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

সম্মাননা হিসেবে ব্রাদার গিউমকে অ্যাওয়ার্ডসহ নেদারল্যান্ড রাজার ব্যাজ পরানো হয় এবং স্মারকচিহ্ন প্রদান করা হয়।

Add new comment

6 + 1 =