পূজনীয় হওয়ার পথে ঈশ্বরের সেবক থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী

Photo Credit to Owner

পূজনীয় হওয়ার পথে ঈশ্বরের সেবক থিওটোনিয়াস অমল (টি. এ.) গাঙ্গুলী। ক্যাথলিক মন্ডলী ২০০৬ সালে সাধু শ্রেণিভুক্তকরণের প্রথম ধাপ ঈশ্বরের সেবক হিসেবে ঘোষণা দেন। এর পরবর্তী ধাপ হলো পূজনীয়।

২ সেপ্টেম্বর দেশে ক্যাথলিক মন্ডলীতে পালন করা হয় ঈশ্বরের সেবক টি. এ. গাঙ্গুলীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকার কাকরাইলস্থ গির্জায় তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকার আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি ।

উপদেশে কার্ডিনাল প্যাট্রিক বলেন, ঈশ্বরের সেবক টি. এ. গাঙ্গুলীর সাধু শ্রেণিভুক্তকরণের দ্বিতীয় ধাপ ‘পূজনীয়’ ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে এই বছর, তার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা প্রয়োজন। তিনি খ্রিষ্টভক্তদের এ জন্য প্রার্থনার অনুরোধ করেন।

পবিত্র খ্রিষ্টযাগ শেষে গির্জা প্রাঙ্গণে ঈশ্বরের সেবক টি. এ. গাঙ্গুলীর কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিট, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ধর্মসংঘের প্রতিনিধি।

ক্যাথলিক মন্ডলীতে কোনো ব্যক্তিকে সাধু শ্রেণিভুক্ত করার চারটি পক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো হলে: ঈশ্বরের সেবক, পূজনীয়, ধন্য এবং সাধু ।  ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম বঙালি সাধু শ্রেণিভুক্তকরণের প্রথম ধাপ ‘ঈশ্বরের সেবক’ পদে ভূষিত হয়েছেন আর্চবিশপ থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী। এখন তার পরবর্তী ধাপ হলো ‘পূজনীয়’।

অনিরাময়যোগ্য ব্যধি যেমন ক্যান্সার, কিডনী ফেইলোর হলে, আর্চবিশপ টি. এ. গাঙ্গুলীর মধ্য দিয়ে প্রার্থনা করলে কেউ সুস্থ হলে তা স্থানীয় ফাদারের মধ্য দিয়ে আর্চবিশপ টি এ. গাঙ্গুলী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বা ধন্য শ্রেণিভুক্তকরণ কমিটিতে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। তা পরে ভাটিকানে প্রমাণ হিসাবে সেই নথি প্রেরণ করা হবে। এভাবে তাঁকে সাধু ধন্য শ্রেণিভুক্তকরণ পক্রিয়া দ্রুত হবে।– (ডিসিনিউজ)

Add new comment

12 + 0 =