ধরিত্রীর জয়ন্তী : নতুন ছন্দ, নতুন আশা

Photo Credit to Owner

পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস এর আহ্বানে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় লাউদাতো সি বর্ষের শুরুতে খ্রিস্টমণ্ডলী “সৃষ্টি উদযাপন কাল” পালনে অংশ নিতে আমাদের আহ্বান করছেন।

এ বছরের মূলভাব হিসেবে ‘ধরিত্রীর জয়ন্তী : নতুন ছন্দ, নতুন আশা’ গ্রহণ করা হয়েছে।

“সৃষ্টি উদযাপন কাল” বিশ্বজুড়ে ১ সেপ্টেম্বর, ‘সৃষ্টির জন্য বিশ্ব প্রার্থনা দিবস’ থেকে ৪ অক্টোবর আসিসির সাধু ফ্রান্সিস এর পর্ব দিবস পর্যন্ত উদ্যাপন করা হয়।

সৃষ্টি উদযাপন কালের একটি বিশিষ্ট আন্তঃমাণ্ডলিক মাত্রা ও প্রেরণা বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে  বিশ্বের সকলে একত্রে আমাদের অভিন্ন বসতবাটির যত্ন ও সুরক্ষার জন্য একটি মাস প্রার্থনা ও বাস্তব কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

এ সময়ে খ্রিস্টিয় সকল চার্চের নেতাগণ বিশ্ববাসীকে ধরিত্রীর সুরক্ষার জন্য একত্রে প্রার্থনা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং  অ্যাডভোকেসি কর্মসূচিতে অংশ নিতে অনুরোধ করে একটি বিশেষ আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

সৃষ্টির এই বিশেষ কালে আমাদের ধরিত্রীর পুনর্নবীকরণ এবং আমাদের মূল্যবান দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে সুযোগ করে দিয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “আমাদের অভিন্ন বসতবাটিকে রক্ষা করার জন্য জরুরি চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোটা মানব-পরিবারকে একত্রিত করার চিন্তাভাবনা, যাতে টেকসই ও সম্পূরিত উন্নয়ন সাধিত হয়, কেননা আমরা জানি যে, পরিবর্তন সম্ভব” (লাউদাতো সি-১৩)। 

আমরা অন্তরে গভীরভাবে উপলব্ধি করি, আবর্জনা এখানে-সেখানে ছুড়ে ফেলে অপরিচ্ছন্ন-অস্বাস্থ্যকর নর্দমা তৈরি করেছি; গাছ কেটেছি, কিন্তু রোপনে অবহেলা করে পরিবেশে ভারসাম্য নষ্ট করেছি; স্বার্থপরতা ও অতিভোগের কারণে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ করে ফেলেছি; প্রতিনিয়ত প্রচুর পানি অপচয় করছি, খাল ও নদীর জল বিষাক্ত করে ফেলেছি; এভাবে প্রকৃতি ও প্রতিবেশীদের প্রতি অনেক ক্ষতি  ইতোমধ্যে করেছি। আসুন, এসব স্মরণ করে অনুতপ্ত হই ও মন-পরিবর্তন করি  এবং প্রকৃতি ও  প্রতিবেশীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলি। 

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “আমাদের প্রিয় গ্রহটির ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে নতুন ক’রে একটি সংলাপের প্রয়োজন অনুভব করছি যে-সংলাপে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে, কেননা পরিবেশগত যে চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেই চ্যালেঞ্জ, এবং তাঁর মানবিক কারণসমূহ আমাদের সকলকেই ভাবিয়ে তুলছে এবং আমরা সবাই ভুক্তভোগী” (লাউদাতো সি-১৪)। 

আসুন,  বিগত বছরের ঐতিহ্য অনুসরণ করে আমরা এই উপলক্ষটি যথাযথ মর্যাদা নিয়ে পালন করি এবং নিজেদের বিশ্বাসের গভীরতার অভিব্যক্তি হিসাবে আমাদের অভিন্ন বসতবাটির যত্ন ও সুরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করি।– (ড. ফা. লিটন হিউবার্ট গমেজ, সিএসসি)

Add new comment

4 + 16 =