ফিলিপিন্সে হত-দরিদ্র ভাই-বোনদরে পাশে খাদ্য বিতরণে বাংলাদশেরে ফাদার পিউস পডুয়েং, ওএমআই

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়নি ফিলিপিনসও! এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবর্তীর্ণ ফিলিপিন্স বিগত ১৫ই মার্চ থেকে সারাদেশে লক ডাউনের আহ্বান করে। সেই সময় থেকেই হত-দরিদ্র মানুষের জীবনে নেমে আসে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই! একদিকে করোনার ভয় আর অন্যদিকে দু’মুঠো খাদ্যের জন্য হাহাকার!

এই অভিব্যক্তি শত শত মানুষের, গৃহহীন, হত-দরিদ্র, ফুটফাটে এবং এলআরটি লাইনের নিচে আশ্রয় নেওয়া আর কালোওকান শহরের আনাচে কানাচে রাস্তায় দৌড়ানো ট্রাই-সাইকেল ও জিপনী ড্রাইভারদের! এই অভিব্যক্তি কৃতজ্ঞতার, ধন্যবাদের!

ফিলিপিনস সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করলেও তা যৎ সামান্য! তাদের ত্রাণ বিতরণ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো টুকাই আর গৃহহীন মানুষের কাছে পৌঁছায় না। এই অসহায় মানুষদের কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য কালোওকান ধর্মপ্রদেশে  করুণাময়ী মা-মারীয়ার ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার এডুয়ার্ডো ভাসগেস (পনপন) ওএমআই সময়োপযোগী একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের আয়োজন করলেন।

বিগত এপ্রিল মাস থেকে প্রায় প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গৃহহীন অসহায়, হত-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিদিন রাত ৮ ঘটিকার পর ফাদার তার সহযোগীদের নিয়ে ধর্মপল্লীর পিকআপ যোগে বেড়িয়ে পড়েন রাস্তায় রাস্তায় খাদ্য বিতরণের জন্য। অনাহার আর অর্ধাহারে রাস্তায় আর ফুটফাটে শুয়ে থাকা মানুষগুলো খাবার পেয়ে যেন ফিরে পাই বেচেঁ থাকার প্রেরণা! আর তাই তাদের কন্ঠে মনের অজান্তেই বেড়িয়ে আসে কৃতজ্ঞতার একটি সুর- সালামাত ফাদার! 

ফাদার পনপনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক ধর্মপল্লীবাসীও। তারাও এই উদ্যোগের সাথে শরিক হয়েছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে- কেউ অর্থ সাহায্য দিয়ে, খাদ্য দিয়ে কেউবা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে! কলকাতার সাধ্বী মাদার তেরেজার একটি অমর উক্তি “শত শত মানুষকে তুমি যদি খাওয়াতে না পার, অন্তত: একজনকে খাওয়াও” - এই কার্যক্রমের প্রধান উদ্দীপক শক্তি।

করোনাকালীন এই র্দুযোগে আসুন, আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যে যেভাবে পারি, হত দরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাদের প্রতি আমাদের মমতার হাত প্রসারিত করি আর এভাবেই আমাদের সামাজিক কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হই! 

Add new comment

2 + 0 =