শারদোৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী

নিউ-নর্মালের শারদোৎসবে মেতেছে   বঙ্গবাসী। করোনা ভয় তুচ্ছ করে শারদোৎসবে মেতেছে সবাই। সন্ধ্যায় প্যান্ডেল হপিং-এ ব্যস্ত শহর। জনস্রোত রাস্তায়, মাস্কে ঢাকা অজস্র মুখ। নিউ-নর্মালের পুজোতেও থিম থেকে আলোকসজ্জায়, প্রতিমায় দর্শকের মন জয়ের চেষ্টা।

সন্ধ্যায় পুরোদস্তুর উৎসবের মেজাজে তিলোত্তমা। সেই উৎসবে অন্য মাত্রা যোগ দিয়েছে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের থিম-ভাবনা, শিল্প নৈপুন্য। দুর্গাপুজোকে যাঁরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, ভেবেছেন অন্য রকম কিছু.। ইতিমধ্যেই সেইসব সেরাদের হাতে উঠল শারদ সম্মানও। 

মণ্ডপে মণ্ডপে মহানবমীর পুজো শেষ। বেলুড়মঠ, বাগবাজার, শোভাবাজারে, পুজোর আরতিতে ছিল বাড়তি আকর্ষণ। রীতি মেনে, শাস্ত্র মতে দেবীর আরাধনা মহাষ্টমী ও মহানবমীর মিলন মুহূর্তে সন্ধিপুজোও হয় মহা আরম্বরের সাথে। রীতি মেনে বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোয় সন্ধিপুজো হয়। এই পুজোয় দেবীকে দেখানো হয় চামুণ্ডা রূপে। প্রতিমার উদ্দেশে অর্পণ করা হয় ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি দীপ। আজও সেই মতো পুজো হয়ে চলেছে কলকাতা থেকে কোচবিহার, মালদা থেকে মেদিনীপুর-সর্বত্রই।

করোনা আবহে বদলে গিয়েছে জীবনযাপন। তবে পুজোর এই কটা দিন অন্যরকম। অজস্র খারাপের মধ্যেও ভাল থাকার রসদ। তাই বিগত দিনের কালিমা কাটিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা সকলেই। আট থেকে আশি রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সকলেই। উত্তর কলকাতার রাজবাড়ি থেকে দক্ষিণের মাডক্স সর্বত্রই নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ হয়েছে সন্ধ্যারতি।

দু’টি টিকা নেওয়া থাকলে অঞ্জলি দেওয়া যাবে। এমনকি নির্দ্বিধায় সিঁদুর খেলাতেও অংশ নিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। দুর্গা পুজো নিয়ে এই নয়া নির্দেশিকায় জারি করেছিল  কলকাতা হাই কোর্ট। বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৪৫ জন দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন। ছোট মণ্ডপে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ঢুকতে পারবেন বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দুর্গাপুজো নিয়ে শুনানি হয়। তারপরই আদালত নয়া নির্দেশিকা জারি করে। বলা হয়, দু’টো টিকা এবং মাস্ক পরা থাকলে পুজোর যে কোনও কাজে অংশগ্রহণ করা যাবে।  

উল্লেখ্য, অষ্টমী এবং নবমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সেসব উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমেছেন আবালবৃদ্ধ সকলে। - তেরেজা রোজারিও

 

Add new comment

4 + 0 =