বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে আমাদের এবারের অনুষ্ঠান “মায়ের স্নেহ”

Photo Credit to Owner

প্রযোজনা ও পরিচালনায় - ফাদার নিখিল এ গমেজ, সহযোগিতায়- ঈশিতা ক্লারা গমেজ। 
আজ বিশ্ব মা দিবস। এই শুভ দিনে সকল মায়েদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা, স্নেহ ও ভালবাসা। ১৮৭২ সালে শান্তির জন্য উৎসর্গ করে প্রথমবারের মত আমেরিকায় মাদারস্ দে পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন জুলিযান ওয়ার্ড কুই। এর পরে আধুনিক মা দিবস পালনের সকল দাবিধার রাখেন এন মেরী জার্বিস। তার অক্লান্ত চেষ্টায় ১৯০৮ সালের ১০ মে , পশ্চিম ভার্জিনিয়া, ডিনাডিলদিয়া, পেনসিলভিনিয়ায় প্রথম মা দিবস পালিত হয়। মূলত ধরা হয় সেই সময় থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মা দিবস পালিত হয়ে আসছে। 
সমুদ্রের পানি যেমন কখন শেষ হয়না ঠিক তেমনি ভাবে মায়ের হৃদয়ের স্নেহ ও ভালবাসা কখনও শেষ হয়না। মায়ের সেই স্নেহ ভালবাসায় সন্তান হয়ে উঠে মানুষ, হয় শিক্ষিত, হয় ধার্মিক, পায় নতুন জীবন। তাইতো সন্তান কানা, কালো, খোঁড়া, অন্ধ হলেও মায়ের কাছে সবচেয়ে সুন্দর ও মহা-মূল্যবান তার সন্তান। কারণ মায়ের দেহ থেকে জন্ম  হয় সন্তানের। 
তিলে তিলে মাতার রক্ত-মাংস দিয়ে সন্তানকে গড়ে তুলেন। সত্যি মা এমনই একজন ব্যক্তি যে , তিনি কোন কিছুই অবহেলার চোখে দেখেন না। মা সন্তানের আলো, মা সন্তানের ভালো, মা সন্তানের সফলতা, মা সন্তানের সহযাত্রী। তাই তো মা সন্তানের স্নেহময়ী।
সত্যি সন্তানের পক্ষে মায়ের এই কষ্টের ঋণ কখনো শোধের নয়। কারণ মায়ের চরণেই যে স্বর্গের শান্তি। মা তার নিজের সন্তানকে কখনই ভুলে থাকতে পারেনা, আবার কখন ছেড়ে যেতেও পারেনা । কারণ মায়ের মধ্যে রয়েছে মাতৃত্ব, মায়ের মধেই রয়েছে অফুরান ভালবাসা, অকৃত্রিম বিশ্বাস, স্নেহ, মমতা, দয়া-মায়া, ধৈর্য্য, ক্ষমা ইত্যাদি হাজারও গুণের সমাহার। তাই তো বলি এ পৃথিবীতে মায়ের মত আপন কেহ নাই । 
তাই আসুন শ্রোতা-ব›দ্ধুরা  বিশ্ব মা-দিবস উপলক্ষে  সন্তান হিসেবে আমাদের হৃদয় দিয়ে আমার মাকে স্নেহ করি ও ভালবাসি এবং বিভিন্ন উপহার দিয়ে মাকে হাসিকে-খুশিতে ভরিয়ে রাখি। এটাই হোক আমার জীবনে মায়ের স্নেহ ও ভালবাসার শ্রেষ্ঠ উপহার।  

Add new comment

1 + 3 =