Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
ভারতে লকডাউনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দ্রব্য মূল্য।
ভারতে পাইকারি মূল্য সূচকের হার বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১০.৪৯ শতাংশ।
লকডাউনে যখন ভারতের রাজ্যে রাজ্যে প্রায় সবকিছু বন্ধ অবস্থা চলছে, তখন সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলছে মূল্যবৃদ্ধি। বিগত মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে খুচরো মূল্যসূচক কমছে। যার মানে বাজারে খুচরো দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নেমে গেছে। আশার আলো দেখেছিলেন আম জনতা। কিন্তু, সোমবার ১৭ মে, ২০২১ এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে থাকা পরিসংখ্যান দপ্তরের নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, এপ্রিল মাস থেকে এক ধাক্কায় বেড়েছে পাইকারি দ্রব্যের মূল্যসূচক। উল্লেখ্য, মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচকের হার ছিল ৭.৩৯ শতাংশ। সেটি বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১০.৪৯ শতাংশ। যা এককথায় রেকর্ড সৃষ্টিকারী, কারণ দ্বি-সংখ্যক মুদ্রাস্ফীতির হার সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রধানত যে দ্রব্যগুলির ক্রমবর্ধমান মূল্য এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী সেগুলি হল, ডাল, ডিম, ভোজ্যতেল, মাংস, মাছ, পেট্রল, ডিজেল, উৎপাদন শিল্পের সরঞ্জাম, প্যাকেজড খাবার, ইত্যাদি। এর সাথে দাম বেড়েছে ফলেরও। অর্থাৎ আংশিকভাবে খাদ্যদ্রব্যের একটা বিশেষ অংশের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
পাইকারি মূল্য সূচক সাড়ে ১০ শতাংশ অতিক্রম করে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর প্রভাব পড়বে খুচরো দ্রব্যের দামেও। বিশেষ করে বিগত ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। বহু দ্রব্যের আনাগোনা ব্যাহত হয়েছে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে আসতে পারছে না বহু খাদ্যশস্য, সব্জি, ফল, ডিম, মাছ। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অশোধিত তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় নতুন সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। দেশের একাধিক অঞ্চলে পেট্রলের দাম স্পর্শ করেছে ১০০ টাকা। সোমবার ১৭ মে, ২০২১ এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। - অতনু দাস, কলকাতা।
Add new comment