দরিদ্র পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ

আর্থিক সহায়তা প্রদানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ

দেশব্যাপী টানা লক্ডাউনের ফলে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের ফলে দেশে মৃত্যুর মিছিল অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।

কয়েকদিন আগে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে ১০০ জনের বেশী ছাড়িয়ে গেছে। বেড়ে গিয়েছিল স্বজন হারানোর কান্না ও হাহাকার। তাই তো প্রথমদিক থেকে লক্ডাউনে অভাবী মানুষেরা ঘরে বসে থাকতে চাইছিল না। এমতাবস্থায় দেশের সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অসহায় অভাবী দরিদ্র পরিবারে পাশে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি বাংলাদেশ ক্যাথলিক মণ্ডলির ক্ষেত্রেও। তাই বাংলাদেশ বিশপ’স কনেফারেন্সও প্রতিটি কারিতাসের মাধ্যমে প্রত্যেক ধর্মপ্রদেশের ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত করার জন্য কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলকে নিদের্শনা দান করা হয়। সেই নিদের্শনানুযায়ী রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ৬টি ধর্মপল্লীতে যথাক্রমে নবাইবটতলা, সুরশুনিপাড়া, মুণ্ডুমালা, দেলুয়াবাড়ী, ভূতাহারা এবং রহনপুর ধর্মপল্লীর মোট ৩০৫টি পরিবারকে ২০০০.০০ টাকা করে সর্বমোট ৬,১০,০০০.০০ টাকা নগদ বিতরণ করার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এই ত্রাণ কার্যক্রম সম্বন্ধে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জেভার্স রোজারিও বলেন, “ক্যাথলিক মণ্ডলি সব সময়ই দরিদ্রদের পক্ষ সমর্থন করে থাকে। বর্তমান এ বাস্তবতায় দরিদ্র মানুষদের পক্ষ সমর্থন করা বা তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া আমাদের একটি নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।”

তিনি আরো বলেন, এ কঠিন সময়ে সকলকেই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুয়ায়ী আর্ত মানবতার সেবাকাজে এগিয়ে আসতে হবে। তাই সমাজের বিত্তবানদেরকে এ কাজে এগিয়ে আসার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই। একই সাথে তিনি কভিড মহামারি চলাকালীন সময়ে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং নিরাপদে থাকার অহ্বান জানান।”

“প্রার্থনা করি যেন করোনা ভাইরাস থেকে ইশ^র আমাদের প্রত্যেককে মুক্ত ও নিরাপদ রাখেন। বিশেষভাবে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জনগণের জন্য প্রার্থনা করি যেন ঈশ^র তাদেরকেও এই চরম মর্হুতে তাদের পাশে থাকেন এবং সকলকে আর্শীবাদ করেন,” বলেন বিশপ জের্ভাস।- -ফাদার বাবলু কোড়াইয়া

 

Add new comment

9 + 1 =