কলকাতা আর্চ ডায়াসিসের মনসিনীয়র ফ্রান্সিস গমেজে’র চির বিদায়

মনসিনীয়র ফ্রান্সিস গমেজ

গত ২৪ এপ্রিল ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতার মিডিলটন রোডের ভিয়ানি হোমে আনুমানিক বেলা ১টা ৩০ মিনিটে মনসিনীয়র ফ্রান্সিস গমেজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  

মহামান্য প্রয়াত বিশপ লুকাস সরকারের মহাপ্রয়াণের সুরের রেশ কাটাতে না কাটতেই আরেকটি শোক সংবাদ।

মনসিনীয়র ফ্রান্সিস গমেজ ১৯৩৮ সালের ৮ই অক্টোবর আসানসোলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা স্বর্গীয় ডুবিঙ্গো গোমেজ ও মাতা স্বর্গীয়া মারিয়া গমেস। আদি বাড়ি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের গোল্লায়।দেশ বিভাজনের অনেক আগেই তারা এদেশে চলে আসেন।   দীক্ষাস্নান হয় আসানসোলের সেক্রেড হার্ট চার্চে। তবে শিক্ষা দীক্ষা, পুরোহিত জীবনের প্রস্তুতি বেশির ভাগটাই এপার বাংলায়। কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট লরেন্স স্কূলের একজন প্রাক্তনী।

তিনি ৩রা সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে পুরোহিত পদে অভিষিক্ত হন। কলকাতা আর্চ ডায়াসিসের প্রাক্তন ভিকার জেনারেল ছিলেন তিনি।(১৯৮৬-১৯৯৯) এই সময় নানা গঠন মূলক কাজে আর্চ ডায়াসিস কে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন।

অনেক উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনার  তিনি ছিলেন একজন রূপকার। কলকাতা আর্চ ডায়াসিসের শিক্ষা ক্ষেত্রে  বিরাট অবদানের জন্য পোপ জন পল২য়  তাকে মনসিনীয়র উপাধিতে ভূষিত করেন। 

পুরোহিত হয়ে তিনি প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায়।। সেখানে প্যারিসের উন্নয়নে ও সানতাল অধিবাসীদের উন্নয়নে অনেক অবদান রাখেন। কার্ডিনাল পিকাচি সমাজ কল্যাণের লক্ষ্যে সেবা কেন্দ্রে র ডিরেক্টার পদে নিযুক্ত করেন।

এই সময় নানা  পরিকাঠামো গত প্রগতিশীল কাজে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার ছাপ রাখেন। তিনি এপিসকোপাল ভিকার ছিলেন। সেবা কেন্দ্রে থাকা কালীন বাংলাদেশ দেশ থেকে আগত ছিন্নমূল অধিবাসীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। 

আমরা তার আত্নার চিরশান্তি কামনা করি।

Add new comment

1 + 1 =