সিলেট ধর্মপ্রদেশের উদ্যোগে পথশিশু, প্রতিবন্ধী, চা-বাগান ও খাসিয়া পুঞ্জিতে ত্রাণ বিতরণ

করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারিরূপে ছড়িয়ে পড়ায় সকল মানুষের জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বিশেষভাবে দরিদ্র দেশগুলিতে খেটে খাওয়া দীন মজুর ও অসহায় জনগোষ্ঠি মানুষের জীবনের দু:খ কষ্ট আরো বেড়ে গিয়েছে।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসহায় ও কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছে পথশিশু ও প্রতিবন্ধীরা। সিলেট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিজয় এন.ডি’ক্রুজ ওএমআই ধর্মপ্রদেশের পক্ষ থেকে এই মহামারী করোনাকালে জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বেশ কয়েক দফায় সিলেট রেল ষ্টেশনের আশে-পাশে তালিকাভুক্ত ৫০ জন পথশিশু ও ইসলামপুের ২০ জন প্রতিবন্ধীদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে তাদের দু:খ কষ্টের সহভাগিতা করেন এবং পাশাপাশি এই অবহেলিত এবং ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার পথে চলা শিশুদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা করছেন।

করোনা মহামারির এই বিশেষ সময়ে বিশপ মহোদয়ের হাত থেকে কিছু ত্রাণ-সহায়তা পেয়ে এই অসহায় পথশিশু ও তাদের পিতা-মাতাদের হৃদয় কিছুদিনের জন্যে হলেও আনন্দ ও কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে এবং বিশপ মহোদয়কে তারা প্রাণ ভরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

করোনা মহামারির কারণে অনেকে কাজ হারিয়ে বেকারত্মের মানবেতর জীবন যাপন করে নিজ বাড়িতে চলে এসেছে, অনেকে কাজ করেও যথাযথ মজুরী পাচ্ছে না, দিন মজুরদের কাজের সংস্থান মিলছে না। ফলে বেকার ও দরিদ্রদের কষ্ট যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে।

তাদের এই দুর্যোগ ও কষ্টের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয়ের উদ্যেগে উপকারী বন্ধুদের সহায়তায় ও কারিতাস সিলেট অঞ্চলের যৌথ প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে অনেক চা-বাগানে, খাসিয়া পুঞ্জিতে এবং অনেক গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ  বিতরণ করা হয়েছে।

এই মহামারি করোনাকালে সিলেট ধর্মপ্রদেশ ও কারিতাসের যৌথ সহযোগিতা ও প্রচেষ্ঠায় এই পর্যন্ত মোট ৬৩৮ পরিবারকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ত্রাণের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, প্যাকেট খাবার, ঔষধ, বিস্কুট, সেনিটাইজার ও মাস্ক।

বিশপ বিজয় তাঁর অনুভুতি ব্যক্ত করে পরম দয়াময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে সকল উপকারি বন্ধুদের ও কারিতাস সিলেটের সহায়তা দানকারী সকল কর্মী সহযোগিদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং এই মহামারির হাত থেকে যেন সকলেই রক্ষা পায় এই কামনা করেন এবং সবার জন্য তার প্রার্থনা ও আশীর্বাদ রাখেন।

Add new comment

2 + 4 =