সংসদে সব ধর্মের রীতিতে প্রার্থনার দাবি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। 

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত লিখিত বক্তব্যে বলেছেন,  ‘আমরা মনে করি, সাম্য-সমতা-ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলাদেশের সব ধর্ম সম্প্রদায়ের আশা-ভরসার স্থল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান হওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছর থেকেই সংসদ অধিবেশনের শুরুতে এবং প্রতিটি কার্যদিবসে সকল ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

রানা দাশগুপ্ত স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, 'সব ধর্মাবলম্বী বিজ্ঞ সাংসদ বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপনের সময়েও নীরবতা পালনের পাশাপাশি স্ব স্ব সাংসদ এবং বিশিষ্টজনদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।'

ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, জাতীয় সংসদ সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। আধুনিক রাষ্ট্রে ধর্ম এবং রাষ্ট্র পৃথক থাকে। সকল ধর্মই সমমর্যাদার ভিত্তিতে পালিত হয়। সকল ধর্মকেই সুরক্ষা করা হয়। সুতরাং আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদে সকল ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ করলে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তী উজ্জ্বল হবে।’

ঐক্য পরিষদের অন্যতম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল রোজারিও তার ব্যক্তব্যেও মহান জাতীয় সংসদের সকল অধিবেশনে সকল ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় প্রমুখ।

Add new comment

7 + 0 =