Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মধ্য ভিকারিয়ার যাজক ও ব্রতধারীনিদের পালকীয় সহভাগিতা
গত ১৭ মে ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, নবাই বটতলা অবস্থিত রক্ষাকারি মা মারীয়ার ধর্মপল্লীতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মধ্য ভিকারিয়ার যাজক ও ব্রতধারীনিদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ধর্মপ্রদেশের মধ্য ভিকারিয়ার বিভিন্ন ধর্মপল্লী এবং কনভেন্ট থেকে ১৯জন সিস্টার, ১৩জন যাজক এবং ১জন ব্রাদার এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছর পাস্কা পর্বের পর নির্ধারিত কোনো ধর্মপল্লী বা প্রতিষ্ঠানে যাজক ও ব্রতধারীনিরা মিলিত হোন- জীবন ও পালকীয় কাজেরর সহভাগিতা করাার জন্য।
ফাদার আরতুরো পিমে, যাজক ও ব্রতধারিনীদের মিলনমেলায় একটি সুন্দর সহভাগিতা করেন। তিনি বলেন, ‘খ্রীষ্টের আদর্শ অনুসারে মণ্ডলীর মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল সেবা, যার অর্থ মঙ্গলবাণী প্রচার, প্রভুর ভোজের অনুষ্ঠান বাস্তব জীবন পরিস্থিতিতে জনগণের সেবা ও খ্রীষ্টিয় সাক্ষ্যদান। আর তাই আমাদেরকে খ্রীষ্ট নিজেই বেছে নিয়েছেন যেন আমরা সংসারে থেকে সংসারে যুক্ত হয়ে নি:স্বার্থভাবে পরসেবায় জীবন কাটাই।’ এরপর বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ফাদার সিস্টারগণদের মধ্য থিকে কয়েকজন পাস্কাপর্ব ও পালকীয় কাজের সহভাগিতা করেন।
ফাদার মাশের্ল বলেন, করোনা মহামারির কঠিন বাস্তবতায়ও আমরা এ বছর নিরাপদেই পাস্কাপর্ব উদ্যাপন করতে পেরেছি। তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাদের সবসময় সাহায্য করেন শক্তি দেন যেন আমরা খ্রীষ্টবাণী প্রচার করতে পারি। বর্তমানে খ্রীষ্টের সেবায় নিবেদিত জীবন বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হতে হয়। যে কারণে আমাদের জীবন থেকে প্রকৃত আনন্দ উচ্ছলতা, সক্রিয়তা লোপ পাচ্ছে, যা কোন মতেই কাম্য নয়। তাই পূণ্য পিতা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করছেন যাতে আমরা নতুনভাবে চেতনা নিয়ে এ আহবান জীবনকে নিয়ে চিন্তা, ধ্যান ও অনুধ্যান করি।
একজন ব্রতধারিনী তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ঈশ্বরের দ্রাক্ষাক্ষেত্রে কাজ করার জন্য নিজেকে নিবেদন করতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত। আমি উপলব্ধি করছি ঈশ্বরের ভালবাসা, কত বিচিত্রভাবেই না ঈশ্বর আমাকে তাঁর কাজের জন্য ধরে রেখেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করার পূণ্য প্রেরণা ও চেতনা আমাকে দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় ফাদার উইলিয়াম মুর্মু বলেন, ‘আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ কারণ মণ্ডলীর সেবাকাজের জন্য ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেছেন। তিনি চান আমরা যেন সম্পূর্ণভাবে নিজেকে নিবেদন করে প্রভুর দ্রাক্ষাক্ষেত্রে কাজ করি। যীশুর মতো যেন সেই গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের সেবা করি।’
এই অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই তাদের পালকীয় জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে এবং নানা বিধি নিষেধ থাকার পরও পালকীয় কাজ যে থেমে নেই- অনেকে তা উল্লেখ করেছেন।
মণ্ডলির চলার গতি হয়তো কিছুটা মন্থর হয়েছে- কিন্তু ভক্তগণ তাদের বিশ্বাস থেকে সরে যাননি। অনেকে প্রাচীন মন্ডলির বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন যে, সে সময় মণ্ডলিতে মানুষের তৈরি নির্যাতন ছিলো। কিন্তু তা সত্বেও মণ্ডলি তার চলার পথ থামিয়ে দেয়নি।
তার পরেও মণ্ডলি তার পালকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহত নেয়নি। মণ্ডলির ইতিহাসে প্রতিকূলতা ছিলো এবং থাকবে। কিন্তু ঈশ্বর চান এইসব জয় করে আমরা যেনো এগিয়ে যাই।
সবশেষে ধর্মপ্রদেশের চ্যাঞ্চেলোর ফা. উইলিয়াম মুর্মু এবং আহ্বায়ক ফা. মাইকেল কোড়াইয়া, সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Add new comment