ভারতে ভ্যাকসিনের আকাল।

ভোল বদলাচ্ছে ভাইরাস। করোনা সংক্রমণের গতিও অব্যাহত। ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জন আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়, দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর)। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সহায় ভ্যাকসিন। ডাক্তাররা বারবার বলছেন, টিকাই রুখতে পারে কোভিডের এই গতি। তাই দ্রুত এবং সার্বিক টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তাঁদের এই বিধান সত্ত্বেও ভ্যাকসিন সরবরাহে টালবাহানা জারি রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্তরে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ডোজ পাচ্ছে না ভারতের কোনও রাজ্যই। ফলে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরুতেই থমকে গিয়েছে। কোথাও বা ৪৫ ঊর্ধ্বরা হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা অব্যাহত। রোজই মৃতের সংখ্যা চার হাজার অতিক্রম করছে।

 

গতকাল, মঙ্গলবার জানা গিয়েছে আরও এক খারাপ খবর। পশ্চিমবঙ্গ সহ ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আপাতত আগামী তিনদিন কোনও ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, এর কারণ মূলত ভ্যাকসিনের টানাটানিই। যদিও কেন্দ্রীয় স্তরে তা মানতে নারাজ অবস্থা বহমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যই বলছে, আগামী তিনদিন স্রেফ মহারাষ্ট্র, কেরল, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড় - এই ছ’টি রাজ্যকে সব মিলিয়ে ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৬১০ টি ডোজ পাঠানো হবে। বাকিদের নয়। 
 

এরই মধ্যে টিকার টানাটানি চলায় সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৫০ লক্ষ ডোজ ব্রিটেনে পাঠানোর ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। আপাতত তা রপ্তানি হচ্ছে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, “দ্রুত উৎপাদন না বাড়ালে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হবে না।“ - অতনু দাস - কলকাতা

Add new comment

9 + 4 =