বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’কোটি ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে বিগত ১৫দিনে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৫০ লক্ষ মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২৯। গত শনিবার তা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই নিরিখে বিগত ৩ দিন ধরে একটু করে হলেও কমেছে সংক্রমণ। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ২লক্ষ ৮২ হাজার ৮৩৩।
গত মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী দৈনিক মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের নীচে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৯ জন।
তবে সার্বিকভাবে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪০৮ জনের। ভারতে মৃত্যুর হারও আগের থেকে বেশ খানিকটা কমেছে। বর্তমানে তা ১.১০ শতাংশে নেমে এসেছে।
জানা গেছে, দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের ৮১ শতাংশই ১২টি রাজ্যের বাসিন্দা। বেশ কিছু রাজ্যে চলছে সম্পূর্ণ লকডাউন। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি প্রতিটিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ১ লক্ষ।
বিগত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সোমবার মুম্বইতে দৈনিক সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম ছিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬২৪ জন। সেইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কমেছে। গত মাসেও প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার মানুষ সংক্রামিত হচ্ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে চলছে আংশিক লকডাউন। উল্লেখ্য সর্ব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮১ হাজার, সুস্থতার সংখ্যা ৭৪৯ হাজার এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১১,৬৩৭।
এদিকে গতকাল (বুধবার) বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বলেন যে তাঁর প্রথম কাজ এখন পশ্চিমবঙ্গের কোভিড পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং এই ক্ষেত্রে তিনি কোন সময় নষ্ট করতে চান না।
এদিনই রাজ্যের পুরনিগমগুলিতে প্রশাসকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করার নির্দেশও এসেছে সরকারিভাবে। বলা হয়েছে, গত অক্টোবর মাসের মতো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হবে। অক্সিজেন, সেফ হোম, হাসপাতালে বেড বাড়ানো, মাস্ক-স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা জরুরি হিসাবে দেখা হচ্ছে।শপথের সঙ্গে সঙ্গেই এই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। - অতনু দাস, কলকাতা ।
Add new comment