Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
ভারতীয় জ্যোতির্বিদ পুরোহিত রিচার্ড ডি’সুজা এস.জে.
ভারতীয় জ্যোতির্বিদ পুরোহিত যিনি দীর্ঘ দিন ধরে হারিয়ে যাওয়া ছায়াপথগুলি আবিষ্কার করেছিলেন।
জ্যোতির্বিদ ফাদার রিচার্ড ডি’সুজা এস. জে. ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের যীশু সংঘ পরিবারের একজন যাজক।
মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে তাঁর পোস্টডক্টোরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার সময় এক অভাবনীয় আবিষ্কার করেন তিনি। এম. 32 পি. নামে একটি দীর্ঘ-দিন ধরে হারিয়ে যাওয়া ছায়াপথ সম্পর্কে আবিষ্কার করেন, যা আমাদের ছায়াপথের সমগোত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, M32p প্রায় দুই বিলিয়ন বছর আগে, বৃহত্তম ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা দ্বারা 'গ্রাস' হয়ে গিয়েছিল।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফা. রিচার্ড ডি’সুজা এস.জে. এবং এরিক বেলের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল গঠন করা হয়। তাঁদের মতে "অ্যান্ড্রোমিডা" যা অনেক ছোট ছোট ছায়াপথগুলিকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে চলেছে।
মিশিগান থেকে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, "অ্যান্ড্রোমিডা কয়েকশো ছোট গ্যালাক্সির সাথে মিশে গেছে বলে মনে করা হয়। যার ফলে এই ছোট ছোট ছায়াপথগুলির অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যায় এবং মূল গ্যালাক্সির চারপাশে এর অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকে, যার নাম "তারার আলো।"
এই অনুসন্ধানগুলি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই একই পদ্ধতিতে যে সমস্ত ছায়াপথগুলি বৃহত ছায়াপথ দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা আবিষ্কারের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৯৭৭ সালে পুনে শহরে এক গোয়ান পরিবারে ফাদার রিচার্ড জন্মগ্রহণ করেন, এরপর তার নিজের রাজ্য গোয়াতে ফিরে যাওয়ার আগে কুয়েতের একটি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পরে, ১৯৯৬ সালে তিনি যীশু সংঘ পরিবারে যোগদান করেন। ২০০২ সালে তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করেন এবং হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন।
ফাদার রিচার্ড মিশিগানে তার পোস্ট ডক্টরাল গবেষণার আগে ২০১৬ সালে ভ্যাটিকান অবজারভেটরিতে পদে যোগ দেন, জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিখ থেকে জ্যোতির্বিদ্যায় পিএইচডি করেন।
একই সাথে ক্যাথলিক যাজক এবং বিজ্ঞানী হওয়ার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে তাঁর কাছে বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস একই বাস্তবতা জানার দুটি মূল উপায়। "বিজ্ঞান অনুমান এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে অনুধাবন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষত জ্যোতির্বিদ্যায় যেখানে কিছু নির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করা খুব কঠিন, সেখানে সর্বদা অনুমান এবং বিশ্বাসের উপর কতটা নির্ভরশীল তা আমাকে অবাক করে দেয়," তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে "বিজ্ঞান আমাদের জীবনের অর্থ প্রদান করতে পারে না, যা পরিপূর্ণ করতে পারে তা মানুষের কল্পনারও অতীত যেমন "ঐশ্বরিক জ্ঞান"।
এই দিকপাল ভারতীয় জ্যোতির্বিদ পুরোহিত ফাদার রিচার্ড ডি’সুজা এস. জে. কে রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছ।- তেরেজা রোজারিও
Add new comment