ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর

সঙ্গীত জগতের  খ্যাতিমান শিল্পী এন্ড্রু কিশোর ৬ জুলাই সন্ধ্যায়  তার ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর।

জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পীর জন্ম  ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায়। সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন । পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেজন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত।  দীর্ঘদিন পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দুই বাংলায় গান করেছেন এন্ড্রু কিশোর। 

খ্রিস্টান সমাজের এই খ্যতিমান কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী  এক শোকবার্তায় বলেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল।

এন্ড্রু কিশোরের আত্মার শান্তি কামনা  এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।

প্রায় ৯ মাস পর সিঙ্গাপুর থেকে গত ১১ জুন দেশে ফেরেন সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ২০ জুন থেকে তিনি রাজশাহীতে ছিলেন। তবে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি।

১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’সিনেমার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সংগীতের জন্য।

শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান ।

এন্ড্রু কিশোরের ছেলে ও মেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তারা সেখান থেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। ছেলে-মেয়ে দেশে ফিরলেই কিংবদন্তী এই সংগীতশিল্পীর শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে। আপাতত তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। -রিপন আব্রাহম টলেন্টিনু

Add new comment

7 + 2 =