Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
বড়দিন উপল্লক্ষে দরিদ্রদের পাশে আর্থিক সহায়তা প্রদানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের পাশে আর্থিক সহায়তার হাত বারিয়েছেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও।
কোভিট-১৯ এর শুরু থেকে বিগত কয়েক মাস যাবৎ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ ও কারিতাস রাজশাহী সচেতনাতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে এবং হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে।
অন্যদিকে আর কয়েক দিন পরে আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি বড়দিন যা মানুষের সাথে ঈশ^রের মিলনের দিন এবং মানুষের সাথে মানুষের মিলন দিন এবং মানুষের সাথে মানুষের জীবন সহভাগিতার দিন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পরেছে এবং অনেক কষ্টে মানুষ জীবন যাপন করছে।
তাই এমন অবস্থায় আসন্ন বড়দিন উপলক্ষ্যে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মোট ২৫ টি গির্জায় ও ২টি প্রতিষ্ঠানে বিশপ মহোদয় হতদরিদ্রদের মধ্যে ১০০ লঙ্গী ও ১০০ শাড়ীসহ ১০,২৬,০০.০০ টাকা বিতরণের কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভক্তজনদের আধ্যাত্মিক যত্ন নেবার পাশাপাশি তাদের বৈষয়িক দিকগুলোতেও যত্ন নেবার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিটি ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিতদের চাহিদা ভিত্তিতে এ ত্রাণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন এবং পাল-পুরোহিতদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিশপ মহোদয় নিজেও গত ১৯ ডিসেম্বর তাঁর নিজ বাসগৃহ, বিশপ ভবন থেকে এ কার্যক্রমের শুরু করেছেন। তার কাছে এ কাজের লক্ষ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ঈশ^বের বাণীই হচ্ছে আমাদের খ্রিস্টিয় জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু।”
“বড়দিনের পূণ্য আনন্দ হচ্ছে সহভাগিতার মধ্যে তাই আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব হচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সঙ্গে তোমার খাবার ভাগ করে নেওয়া, নিরাশ্রয় দরিদ্রকে নিজের ঘরে ঠাঁই দেওয়া এবং কাউকে বিবস্ত্র দেখলে তাকে পোশাক পরিয়ে দেওয়া যদি আমি তা করতে পারি তা হলেই বড়দিনের সার্থকতা আমাদের মধ্যে পরিপূণ্য পাবে এবং আনন্দ অনেক বেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি, বলেন বিশপ।
তিনি আরো বলেন, “আমার প্রত্যাশা আমাদের ধর্মপ্রদেশের প্রতিটি মানুষই যেন আনন্দে বড়দিন উৎসব উদ্যাপন করেত পারে তার জন্য আমি ধর্মপ্রদেশের নামে এই সামান্য এানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেই সাথে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, সমাজে যারা বৃত্তশালী আছে তারাও যেন ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বড়দিনের আনন্দকে বাড়িয়ে তোলার জন্য সাহায্যের হাত বারিয়ে দেয়।”
বড়দিন শুধুমাত্র মিলন ও আনন্দের উৎসবই নয় বরং বড়দিন আমাদের শিক্ষা দেয় ঐশ ভালবাসাকে মানুষের কাছে মূর্ত করে তুলতে।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলে মানুষ ভালবাসার মধ্য দিয়ে নিজ জীবনে বড়দিনের আনন্দকে সার্থক করে তুলি। সবার প্রতি রইল বড়দিনের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা।
Add new comment