Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
বিরল মানুষ
সকালেই হারিয়েছেন বাবাকে। তা সত্ত্বেও ফুটবলের প্রতি নিখাদ ভালোবাসাই তাঁকে টেনে এনেছে মাঠে। বিকেলে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের মাঠে আয়োজিত লিগের ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেললেন পিয়ারলেস দলের স্টপার আকাশ মুখার্জি। এই ম্যাচে তাঁর দল ৬-২ ব্যবধানে জেতে। পিতৃশোক ভুলে দাঁতে দাঁত চেপে খেললেন কলকাতার গড়িয়ার, বোড়ালের এই ফুটবলার। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে বল দখলের লড়াইয়ে মাথা ফাটে আকাশের। করতে হয় ছ’টি সেলাইও। তারপরেও মাঠে নামেন তিনি। তবে মাঠে নেমেও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় না ফেরার দেশে পাড়ি দেন আকাশের বাবা। তাই মাঠে তাঁকে দেখে বিস্মিত হন পিয়ারলেস দলের কর্তা অশোক দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দুঃসংবাদটি পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আকাশ মাঠে আসে। আমরা ম্যাচ খেলতে তাকে বারণও করি। কিন্তু আকাশ বলল, ‘বাবার জন্য আজ খেলতে দিন। তাহলেই কষ্ট হয়তো কিছুটা কমবে। আমি বাড়ি ফিরলেই বাবার দেহ সৎকার করা হবে।’ যা শুনে আমরা আর ওকে না বলতে পারিনি।’’
ইস্ট বেঙ্গলের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন আকাশ। পরিবারের অবস্থা ভালো নয়। একমাত্র উপার্জনকারী বাবাও নেই। দাদা কার্যত বেকার। ময়দানে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন আকাশ। এরপর কী হবে তা’ও তাঁর অজানা।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান ক্রিকেট অধিনায়ক ভিরাট কোহলির জীবনেও আছে ঠিক এইরকম একটি অনুরুপ ঘটনা। কোহলির বয়স তখন ১৮ বছর যখন তিনি তাঁর বাবাকে হারান। তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংসারের মায়া ত্যাগ করে অকালে চলে যান। কোহলি সেই সময়ে দিল্লির হয়ে কর্ণাটকের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলছিলেন এবং ৪০ রানে রাতের ‘নিশিপ্রহরী’ ছিলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে, পরদিন সকালে কোহলি মাঠে ফিরে আসেন এবং দিল্লিকে ফলোঅন থেকে বাঁচাতে একটি লড়াকু ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। দিল্লির এই ব্যাটসম্যান বলেন তাঁর বাবার মৃত্যু তাঁকে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিক নির্দেশনা দিয়েছে। প্রতিবেদন – অতনু দাস।
Website: https://bengali.rvasia.org
YouTube: http://youtube.com/veritasbangla
Add new comment