Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
বিধিনিষেধকে অনেকেই করছেন উপেক্ষা বা অবজ্ঞা, বিপদ এখনো কাটে নি
আসন্ন দুর্গাপুজো কাটতে না কাটতেই, অক্টোবর মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কোভিড বিধি শিকেয় তুলে আগের মতো জীবনযাপনে ফিরলে দৈনিক তিন লক্ষের বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা। তাই আগামী তিন মাসের মধ্যে অভিভাবকদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হলে বিপদ বাড়বে শিশুদের। তাই যে অঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেশি, সেখানে ছোটদের স্কুল খোলার কোনও প্রশ্নই নেই। এতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ঝুঁকি রয়েছে। এই মর্মেই রিপোর্ট জমা দিল ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ (এনআইডিএম)। ‘কোভিড-১৯ থার্ড ওয়েভ প্রিপেয়ার্ডনেস: চিলড্রেনস ভালনেরাবিলিটি অ্যান্ড রিকভারি’ শীর্ষক ৫৫ পাতার সেই রিপোর্ট হাতে পেয়ে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার রোড ম্যাপ তৈরি হবে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর গাণিতিক মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আইআইটি কানপুরের গবেষক মণীন্দ্র আগরওয়াল অবশ্য এদিন পূর্বাভাস দিয়েছেন, নভেম্বরেই শিখরে পৌঁছতে পারে তৃতীয় ঢেউ।
কেরল-মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতিও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। এখনও পর্যন্ত ছোটদের মধ্যে সংক্রমণের প্রকোপ কম। যদিও তাতে ঝুঁকি কমছে না। শিশুদের রক্ষা করার জন্য দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তেমন মজবুত নয় বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে এনআইডিএম। তাদের দাবি, ডাক্তার, নার্স, ভেন্টিলেটর, অ্যাম্বুলেন্স সহ শিশুদের চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার কোনওটাই ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। দেশের ৮২ শতাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অমিল। ৬২.৮ শতাংশ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ছোটদের ডাক্তারের পদ খালি। এমতাবস্থায় আগামী উৎসব মরশুমের কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি এবং টিকার প্রভাবে দেশের ৬৭ শতাংশ নাগরিক একপ্রকার নিরাপদ বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু ‘সার্স কোভ-২’র নানা ভ্যারিয়েন্ট সেই হিসেব ওলটপালট করে দিচ্ছে। তাই কমপক্ষে ৮০ শতাংশ নাগরিকের মধ্যে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি করতে না পারলে; বিশেষত ছোটদের ক্ষেত্রে বিপদ বাড়তে পারে। তাই শিশুদের জন্য হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে এনআইডিএম। প্রতিবেদন – অতনু দাস।
Website: https://bengali.rvasia.org
YouTube: http://youtube.com/veritasbangla
Add new comment