বাংলাদেশ মণ্ডলীর অকৃত্রিম বন্ধু ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও, পিমে এর চিরবিদায়

ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও, পিমে;  ৩ জুলাই , ২০২১ খ্রিস্টাব্দে বার্ধক্যজনিত কারণে ইটালীতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিটে পরলোগমন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাদারে (বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া, তৎকালীন ইতালির অংশ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে।

২৯ জুন  ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পুরোহিত হিসাবে নিযুক্ত হন । তিনি লন্ডনে কয়েক মাস ইংরেজী ভাষা অধ্যয়ন করার পরে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে বাংলাদেশের  দিনাজপুর ধর্মপল্লীতে তার সেবা কাজের উদ্দেশ্যে আসেন।

ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও শুধুমাত্র একজন ধর্ম যাজকই ছিলেন না । তিনি ছিলেন একজন আর্কিটেকচার ডিজাইনার। প্রযুক্তিগত পড়াশোনা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল, গীর্জা, ক্যাথেড্রাল, সেতুসহ   ৪০ টিরও বেশি স্থাপনার ডিজাইন ও  নির্মাণ করেছেন।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৭২-১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত কারিতাস বাংলাদেশ, দিনাজপুর অঞ্চলের প্রথম আঞ্চলিক পরিচালক ছিলেন । এছাড়াও ধানজুড়ি মিশনের কুষ্ঠ রোগ হাসপাতাল এর পরিচালক পদেও দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন ।

ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও, পিমে, বাংলাদেশের জন্য রেখে গিয়েছে অসামান্য অবদান। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন ও শিক্ষার জন্য তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত যাজক। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নে তার অবদান ছিল অসামান্য।

১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতালি ফিরে যান এবং একই বছরের ১৫  ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ইতালিতে অবস্থান করেন, এবং ১৯৯৪ সালের মার্চ মাসে তিনি আবারও  বাংলাদেশে  ফিরে আসেন। বাংলাদেশে তিনি ২০১৯  খ্রিস্টাব্দে অবধি তার সেবার কাজ করেন। অসুস্থতার কারনে তিনি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবারও ইতালিতে ফিরে যান।

উল্লেখ্য যে, ফাদার আদলফো লি’ম্পেরিও, পিমের ৫ জুলাই ইতালির রানচোতে অন্তেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে ।  অন্তেষ্টিক্রিয়ার খ্রিস্টযাগের পর ফাদারের মৃতদেহ গায়েতাতে আনা হবে এবং পরবর্তী সময়ে গায়েতার স্প্যাক পর্ব তে অবস্থিত পবিত্র স্থানে/তীর্থ স্থানে ফাদারের স্মরণে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হবে।

সংবাদ : রিপন আব্রাহাম টলেন্টিনু।

 

Add new comment

1 + 1 =