প্রয়াত আর্চবিশপ মজেস কস্তা সিএসসি ও প্রয়াত ফাদার রেমণ্ড আম্ব্রোজের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা

গত ৭ অক্টোবর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, খ্রীষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রে বাণীদীপ্তি ও রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা সার্ভিসের যৌথ আয়োজনে প্রয়াত আর্চবিশপ মজেস কস্তা সিএসসি ও প্রয়াত ফাদার রেমণ্ড আম্ব্রোজের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়ে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়।

খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন খ্রীষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিচালক ফাদার বুলবুল আগষ্টিন রিবেরু। খ্রিস্টযাগের উপদেশে তিনি জপমালা প্রার্থনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন আমাদের সময় করে জপমালা প্রার্থনা করা উচিৎ। এতে করে আমরা শয়তানের প্রলোভন জয় করতে পারব।

তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রয়াত ফাদার রেমণ্ড এর কথা। তিনি বলেন, ফাদার রেমণ্ড ছিলেন রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার পরিচিত একটি মুখ। তিনি ছিলেন পিছিয়ে পড়া মানুষের কন্ঠস্বর। যাদের কথা মানুষ শুনতে পায় না তাদের স্বর হয়েছিলেন তিনি। তিনি তার পবিত্র সেবাকাজের মধ্যদিয়ে অনেক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ৪০০ প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন ।

অন্যদিকে, প্রয়াত আর্চবিশপ মজেস ছিলেন আমার রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার একজন পরম বন্ধু। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন তিনি। যখনই কোন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছি তখনই পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাই একটু দেরী হলেও আমরা এই দুই মহান ব্যক্তিকে আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই। তারা আমাদের মাঝে মানবতার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন আমরাও যেন তা চর্চা করি।

খ্রিস্টযাগের শেষ প্রার্থনার পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ কমিশনের প্রেসিডেন্ট বিশপ রমেন বৈরাগী অডিও বার্তা যোগে তার একটি বাণী রাখেন।

সেখানে তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আমার কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাই আমাদের পরোলোকগত প্রয়াত আর্চবিশপ মজেস কস্তা সিএসসি ও প্রয়াত ফাদার রেমণ্ড আম্ব্রোজের প্রতি।

আর্চবিশপ তার নিজ দায়িত্ব ছাড়াও আমাদের যোগাযোগ কমিশনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তিনি তার উপদেশ ও ব্যক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের সাথে কাজ করেছেন। আর ফাদার রেমণ্ড যদিও তিনি রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন বেশি তবু আমাদের যোগাযোগ কমিশনের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন তাদের শান্তি দান করেন”।

ফাদার রেমণ্ড এর স্মৃতিচারণ করে সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সার্কুলেশন বিভাগের তেরেজা মেরী বিশ্বাস বলেন, “ফাদার রেমণ্ড ছিলেন আমাদের একজন পরম উপকারি বন্ধু। তিনি খুব সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন। আর বাংলাদেশে তিনি আসতে খুব ভালবাসতেন। এর এখানে এসে তিনি রিক্সায় চড়তেন। তিনি ছিলেন অনেকজনের জীবনের বটবৃক্ষ”।

আর্চবিশপের স্মৃতিচারণ করেন বাণীদীপ্তীর কর্মী সুনীল পেরেরা বলেন, “আর্চবিশিপ মজেস ছিলেন আমার জীবনে একজন পরম হিতৈষী বন্ধু। তিনি ছোটবেলা থেকেই নম্র, ভদ্র ছিলেন। তিনি দেখতে নরম প্রকৃতির ছিলেন তারপরও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দৃঢ় মনের মানুষ”।

ফাদার বুলবুল বলেন, “এই দুইজন মহান ব্যক্তি আমার জীবনে একজন উপকারি বন্ধু ছিলেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে”।

Add new comment

1 + 14 =