পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে আড়ম্বরহীন ভাবে পালিত হয়ে গেল ‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’

‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’ - ছবি: অসীমা কয়াল

আয়লা, আমফান, যশ – পরপর একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। নদী বাঁধের ধারে আর সেই শ্বাসমূলওয়ালা গাছের ভিড় নেই। তাকে আবার স্ব-রূপে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ম্যানগ্রোভ অরণ্য এলাকাঘেরা প্রতি জেলায় ৫ কোটি করে চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। মোট ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা বসানো হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নদীমাতৃক এলাকা ধরে। সরকারি স্তরে সেসব কাজও শুরু হয়েছে। তবে তার আগে ২৬ জুলাই ২০২০, ‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’ পালিত হল।

 

এই দিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় ফেরিঘাটে পালিত হয়ে গেল ‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাথরপ্রতিমা ব্লকের এমজিএনআরইজিএস সেল ও বনদফতরেরক পক্ষ থেকে যৌথভাবে ম্যানগ্রোভ দিবসটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক শ্রী সমীর কুমার জানা। উপস্থিত ছিলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি হিমাংশু শেখর রাউত, কর্মাধ্যক্ষ শেখ ফখরুদ্দিন ও রাধেশ্যাম পণ্ডিত, মহকুমা শাসক অরণা ব্যানার্জি, বিডিও রথীনচন্দ্র দে, রামগঙ্গা রেঞ্জের আধিকারিক অসীম কুমার দণ্ডপাত, ভাগবতপুর রেঞ্জের আধিকারিক তন্ময় চ্যাটার্জি, ছন্দা মণ্ডল প্রমুখ। মাননীয় বিধায়ক শ্রী সমীর কুমার জানা বলেন, “সুন্দরবন বাঁচাতে ম্যানগ্রোভের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে গেলে ম্যানগ্রোভকে বাঁচাতে হবে। ম্যানগ্রোভের বিকল্প কিছু নেই। শুধু ম্যানগ্রোভের চারা বসালে হবে না। সেটাকে রক্ষাও করতে হবে।

 

অপরদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির কৈখালির ৪ নং ব্লকে তাঁরা তৈরি করলেন ম্যানগ্রোভ নার্সারি। সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া, হেঁতাল গাছের চারা রোপন করে সেই কাজে হাত লাগালেন তাঁরা। এখান থেকে এবার স্থানীয় বাসিন্দাদের চারা বিলি করা হবে যাতে প্রত্যেকের নিজেদের বাড়িতেও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ থাকে। পরিবেশপ্রেমীরা কচি-কাঁচাদের বোঝান ম্যানগ্রোভের উপকারিতা। যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।

 

উল্লেখ্য, এই ম্যানগ্রোভ দিবস কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরগণার সাগর ও কাকদ্বীপ, উত্তর ২৪ পরগণার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নদী মাতৃক অঞ্চলগুলোতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। এই দিন উপলক্ষে এই তিন জেলায় স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা নতুন করে উদ্যোগ নিলেন, যা বেশ প্রশংসনীয়। ‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’ কার্যত সার্থক করে তুললেন এই অঞ্চলের মানুষরা। তথ্য সহায়তায় – অসীমা কয়াল। প্রতিবেদন – অতনু দাস।

 

Website: https://bengali.rvasia.org

YouTube: http://youtube.com/veritasbangla

Comments

২৬ জুলাই ২০২০, ‘বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস’ পালন বিষয়ে প্রতিবেদনটি বেশ ভাল হয়েছে। আসলেই- ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে গেলে ম্যানগ্রোভকে বাঁচাতে হবে। ম্যানগ্রোভের বিকল্প কিছু নেই। শুধু ম্যানগ্রোভের চারা বসালে হবে না। সেটাকে রক্ষাও করতে হবে।’

Add new comment

18 + 2 =