Radio Veritas Asia Buick St., Fairview Park, Queszon City, Metro Manila. 1106 Philippines | + 632 9390011-15 | +6329390011-15
গত ২৩ জুন বিশ্বব্যাপী পালীত হলো আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস
গত ২৩ জুন, পালীত হলো আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে ৭ জন বিধবার মধ্যে ১ জন শুধু যে দারিদ্রে জর্জরিত তাই নয়, যুদ্ধই নারীকে বিধবায় পরিণত করার অন্যতম কারণ।
নিদারুণ নিঃসঙ্গতা ও কষ্টের মধ্যে থাকা বিশ্বের কোটি কোটি বিধবার অধিকার ও সামাজিক সম্মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২৩ জুনকে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ২৫৮ মিলিয়ন বিধবা রয়েছে এবং দশ জনের মধ্যে প্রায় একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে । মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিধবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও যুদ্ধ। বিশ্বে ১০ জন বিয়ে যোগ্য বয়সী নারীর একজনই বিধবা। এ সংখ্যা আফগানিস্তান ও ইউক্রেনে।
ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় যে, বিধবা দিবস প্রতিষ্টা করার জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক লুম্বা ফাউন্ডেশন এ বিষয়টি জাতিসংঘের অনুমোদনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজ লুম্বা ওই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ার এর সভাপতি।
সাধারণ পরিষদে পেশ করা লুম্বা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ছয় কোটির বেশি বিধবা নারী স্বামী হরিয়ে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অসহায় এসব নারীকে দেখার কেউ নেই। রাজ লুম্বা বলেন, তিনি তাঁর মায়ের বিধবা জীবনের কষ্ট নিজের চোখে দেখেছেন। তিনি বলেন, অল্প বয়সে তাঁর মা বিধবা হন। বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর দাদি তাঁর মাকে রঙিন শাড়ি খুলে এবং সিঁথির সিঁদুর মুছে সাদা থান কাপড় পরতে বলেন। বিধবার বেশ নিয়ে তাঁর মাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিদারুণ কষ্টের জীবন কাটাতে হয়েছে।
শেরি ব্লেয়ার বলেন, জাতিসংঘের এ স্বীকৃতির মাধ্যমে অসহায় বিধবাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে।
পরে ২৬ মে, ২০০৫ সালে লুম্বা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, লন্ডনের হাউস অফ দ্য লর্ডসে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস পালন শুরু হয় ।
এই বিধবা দিবসে আমি সকল বিধবা মা’দের জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সেই সাথে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই আমরা যেন, আমদের দেশের সকল বিধবা মা’দের যত্ন নেই কারণ তাদের সুরক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য।
Add new comment