কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশন রোডের নাম দ্বিজেন্দ্র সরণি করার দাবি

১৯০৫ সালে রানাঘাট - লালগোলা সেকশনে কৃষ্ণনগরে রেলপথ শুরু হয়। তখন বাদশাহি সড়ক থানা রোডের উপর রেলপথ তৈরি হয়। কৃষ্ণনগর শহর থেকে স্টেশনে যাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। এই সময় কবি, নাট্যকার, গীতিকার, গায়ক দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ির প্রবেশ পথের মূল গেট ও বাগানের অনেকটা জায়গা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রেলকে স্বেচ্ছায় দেওয়া হয়েছিল। এই বাগানের ওপর দিয়ে স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোড হয়। বেলেডাঙা রেলগেটের পাশে নর্থ কেবিনটিও কবির পরিবারের দেওয়া জায়গার উপর হয়েছে।

১৮৫৩ সালে ভারতে রেলের পথ চলা শুরু হয়। এই সুদীর্ঘ সময়ে ভারতীয় রেল বহু মনীষীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণ করেছে ও মর্যাদাও দিয়েছে। সোমবার ১৯ জুলাই ছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ১৫৯ তম জন্মদিন। স্বাধীনতা যোদ্ধাদের তাঁর গান অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু রেলের পক্ষ থেকে তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সংরক্ষণ করা বা তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার কথা ভাবা হয়নি। এ নিয়ে কৃষ্ণনগর তথা নদীয়াবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে। উল্লেখ্য, বোলপুরে রবি ঠাকুরের শেষ রেলযাত্রার সেলুনকার সংরক্ষিত আছে। লিলুয়াতে রেলের ভিজিটর্স বুকে শরৎচন্দ্রের স্বাক্ষর ও বজবজ স্টেশনে স্বামী বিবেকানন্দের বসার চেয়ারটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। গোমো স্টেশনে নেতাজির অন্তর্ধান যাত্রার স্মৃতিস্মারকও করা হয়েছে।

কিন্তু দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ক্ষেত্রে কিছুই সংরক্ষণ করা হয়নি। এই গীতিকারের স্মৃতিস্তম্ভে সারা বছর অবৈধ দখলদারদের দাপাদাপি চলে। চলে মদ, গাঁজা, জুয়ার ঠেক। বছরখানেক আগে কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেয়। কৃষ্ণনগর কালীনারায়ণপুর ডেলি প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক সৌমাভ চৌধুরী বলেন, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশনের অ্যাপ্রোচ রোডের নাম ‘দ্বিজেন্দ্র সরণি’ করা হোক। তাতে তাঁকে সম্মান জানানো হবে। কবি নাট্যকারকে যেন শুধু বইয়ের পাতায় না রাখা হয়। প্রতিবেদন – অতনু দাস।

 

YouTube: http://youtube.com/veritasbangla

Website: https://bengali.rvasia.org

Add new comment

4 + 10 =