কারিতাস সিলেট অঞ্চলের সার্বিক সহযোগিতায় জৈবিক পদ্ধতিতে আবিষ্কৃত হল খাসিয়া পানের প্রতিষেধক

কারিতাসের সার্বিক সহযোগিতায় জৈবিক পদ্ধতিতে আবিষ্কৃত হল খাসিয়া পানের প্রতিষেধক । প্রকৃতি উদ্ভিদকে যত্ন করে চাষ করা হয় খাসিয়া পানের জুম। খাসিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান জীবন-জীবিকা আয়ের উৎস হল পান।পান বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল।

কিন্তু বর্তমানে কাল পরিবর্তনের ফলে খাসিয়া পানের বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রোগের প্রভাব বেশী দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাষায় রোগগুলোকে নাম করণ করা হয় উ-ট্রাম(পাতা দাগ) উক্লাম(গুড়া পচা) আরও নানা রকমের ক্ষতিকারক পোকামাকড় বিদ্ধমান রয়েছে। এইসব রোগের কারণে  হাজার হাজার খাসিয়া পানের গাছ প্রতিনিয়ত বিলীন হচেছ।

কারিতাস সিলেট অঞ্চল “সক্ষমতা প্রকল্প “সার্বিক সহযোগিতায় পানের রোগ থেকে উত্তোরনণের লক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। খাসিয়া পানের রোগ গবেষণা ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন সিলেট কৃষি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মনোনীত একটি গবেষণা দল।

গবেষণা দল সরজমিনে বিভিন্ন রকমের পানের রোগ ও পোকামাকড় সংগ্রহ করে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পানের রোগগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা দান করেন। গবেষণা দল তিন সপ্তাহ অন্তর অন্তর সরজমিনে পরিদর্শন করে,পরীক্ষামূলক আক্রান্ত পানে জৈবিক প্রতিষেধক স্প্রে করেন। সিলেট কৃষি বিদ্যালয়ের গবেষণা দল এক বছরব্যাপী এই কার্যক্রম পরিচালনা দান করে আবিষ্কৃত করেন খাসিয়া পানের জৈবিক পদ্ধতিতে পানের রোগবালাই দমন প্রতিষেধক।

জৈবিক পদ্ধতি পানের রোগদমন প্রতিষেধক পরীক্ষা  মূলক কমলগঞ্জ উপজেলা পাচঁটি খাসিয়া পুঞ্জি  ও কুলাউড়া উপজেলা সাতটি খাসিয়া পুঞ্জিতে  মোট ৪০জন পান চাষীকে এই প্রতিষেধক বিতরণ করা হয়।

সিলেট বিভাগে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জীবনমান উন্নয়ন লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন। পানের রোগ থেকে সুফল লাভ হলে শুধু পান চাষী নয়, দেশের অর্থনীতি দিক দিয়েও কিছু হলেও সক্ষম হবে বলে আশা করেন।

Add new comment

12 + 2 =