ঐশকরুনার ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো উপাসনা বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী উপাসনা বিষয়ক সেমিনার

গত ১৩ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দে, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের ঐশকরুনার ধর্মপল্লী, ভাটারাতে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী উপাসনা বিষয়ক সেমিনার। এই সেমিনারের মূল বিষয় ছিল, “সাক্রামেন্ত্র ও উপাসনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ”।

পাল-পুরোহিত ফাদার তুষার গমেজ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “উপাসনা হল মন্ডলীর হৃদস্পন্দন। এটি আমাদের জীবন দেয়। আমরা যা বিশ্বাস করি তা আমরা উপাসনার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলি।”

সেমিনারের মূল বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার রুবেন গমেজ, তিনি বলেন, “আমরা যখন একান্তে বিশ্বাস নিয়ে খ্রিস্টের সান্নিধ্যে বসি সেটাই হল আমাদের উপাসনা। আমাদের খ্রীষ্টিয় জীবনের শিখর হল উপাসনা।”

তিনি আরো বলেন, “সাক্রামেন্ত্র  হল ঈশ্বরের আশিষ বা অনুগ্রহ লাভের জন্য বাহ্যিক চিহ্ন। মন্ডলিতে ৭টি সাক্রামেন্ত্র রয়েছে। আর এই সাক্রামেন্ত্র আমাদের নবজন্ম দান ও বুদ্ধি সাধন করে। যীশুই হলেন সকল সাক্রামেন্ত্রের আদি। যীশু নিজেই হলেন সাক্রামেন্ত্র। যাজকগণ হলেন খ্রিস্টের দৃশ্যমান প্রতিনিধি।”

এছাড়াও তিনি বর্তমান উপাসনা বা খ্রিস্টযাগের যে রীতি বা নিয়ম রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন খ্রীষ্টযাগের প্রধান ৩টি অংশ রয়েছে আর তা হলো; ক্ষমানুষ্ঠান, বানী অনুষ্ঠান আর যজ্ঞানুষ্ঠান।

ফাদার রুবেন বলেন, “আমরা যখন খ্রিস্টযাগের জন্য গির্জাঘরে প্রবেশ করি তখন থেকেই আমাদের খ্রিস্টযাগ শুরু হয়ে যায়। তাই আমরা যেন গির্জা ঘরে নিরবতা ও প্রার্থনাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখি।” এরপর মূল বিষয়ের উপর ছিল মুক্ত আলোচনা ও সহভাগিতা।  এ আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের উপাসনা বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল, অনেক কিছু জানার ছিল।

অংশগ্রহনকারী রেখা বলেন, এই উপাসনা বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করে অনেক নতুন কিছু শিখতে পেরেছি আর উপাসনা বিষয়ে যা কিছু অজানা ছিল তার সঠিক ধারনা লাভ করেছি। সেই সাথে উপাসনার সঠিক রীতি নীতি অনুসরণ করে খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহনের অনুপ্রেরণা লাভ করেছি।”

পরিশেষে পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে এই উপাসনা বিষয়ক সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। এই সেমিনারে মোট ৬৩জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন।

Add new comment

15 + 4 =