আজ ৬ আগস্ট, হিরোশিমা দিবস

১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর ‘লিটল বয়’ নামের পরমাণু বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ‘ফ্যাট ম্যান’’ নামের আরেকটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১,৪০,০০০ লোক মারা যান। নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২,১৪,০০০ জন।

জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনা ধরে হিরোশিমায় ২,৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১,৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।

জাপানের হিরোশিমায় ১৯৬৪ থেকে জ্বালানো হয়েছে The Flame of Peace. পরমাণু বোমা আক্রান্তদের স্মরণে জ্বালানো হয়েছে এই আগুন। যতদিন পর্যন্ত বিশ্ব থেকে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্ব শেষ না হবে, ততদিন ধরে জ্বালানো হবে এই আগুন।

এখনও সে দিনের সেই হামলার দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে হিরোশিমার মানুষ। আণবিক বোমা হামলার এত বছর পরেও শহরে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু, এবং ক্যানসার সহ দুরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছে বহু মানুষ। 

'হিরোশিমা দিবস' এলেই তাই পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা – “আর নয় যুদ্ধের নামে মারণাস্ত্রের ঝনঝনানি, আর নয় কোনও ঠান্ডা মাথার হত্যাযজ্ঞ”। - সংযোজনে অতনু দাস

Add new comment

1 + 7 =