অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘আম্ফান’, দেখানো হলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

Photo Credit to Owner

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী হয়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়ার দফতর থেকে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত  ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ অতি প্রবল রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপে সূত্রে জানা যায়, থাইল্যান্ডের দেওয়া নামেই এবারের ঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং এই অবস্থায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ফরিদ আহমেদ বলেন, আম্ফান বাংলাদেশ উপকূলের খুলনা থেকে চট্টগ্রামের সীমা ঘেঁষে অতিক্রম করতে পারে। 

ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার, এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সামুদ্রিক ঝড়টির তীব্রতা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত শক্তি নিয়ে ঝড়টি উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিমমুখী গতিপথ নিয়ে এরপর উত্তর থেকে উত্তর-পূর্বমুখী দিশা নিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।- ফাদার নিখিল গমেজ । 

Add new comment

4 + 11 =