ভাটিকানের ঐশ উপাসনা কমটির পক্ষ থেকে এই বছরের পুণ্য সপ্তাহরে উপাসনা কেমন হবে তার দিক-নিদের্শনা

২৫ শে মার্চ ২0২0, ঐশ উপাসনা কমিটর পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে বলা হয় যে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর ধর্মপ্রদেশে জনসাধারণের জন্য  খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা আপাতত  বন্ধ থাকবে । পুণ্য সপ্তাহের উপাসনা কেমন হবে সে বিষয়েও এখানে নির্দেশনা দেয়া হয় ।

একই নির্দেশনা প্রাচ্য ক্যাথলিক মণ্ডলীর জন্য বলবত থাকবে ।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয় “ যেহেতু পাস্কা পর্বের তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব নয় তাই যেসকল দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত,  যেখানে জনসমাগম নিষিদ্ধ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ রয়েছে সেখানে বিশপগন ও পুরোহিতগন -  ভক্তজনগণ এবং সহ-পুরোহিত/ সহ উপাসক ছাড়া খ্রিস্টজাগ উৎসর্গ করতে পারবে । যদি সম্ভব হয় তাহলে সরাসরি সম্প্রচার করা যেতে পারে ।”

পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় , ধর্মপল্লী ও ধর্মপ্রদেশগুলো পাস্কা রবিবার এবং পুণ্য সপ্তাহ উপাসনার সময়সূচী খ্রিস্টবিশ্বাসীদেরকে যেন  জানিয়ে দেন যাতে তারা নিজ গৃহে থেকে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আত্মিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেন । এই সময় গুলোতে তারা যেন যথেষ্ট সময় প্রার্থনায় ব্যয়  করেন ।   

এই পত্রে প্রাচ্য মণ্ডলীর সকল প্রধানদের আহ্বান করে বলা হয় যে তারা ভাইরাসের প্রকোপ বিবেচনা করে নিজ রাষ্ট্রের আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভক্ত জনগণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন । গানের দল যেন সীমিত থাকে, পর্ব পালন অনুষ্ঠানগুলো যেন সরাসরি সম্প্রচার করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে । পাশাপাশি নিজ গৃহে থেকে প্রার্থনা করেন তার জন্য  উৎসাহিত  করতে হবে ।

কার্ডিনাল লিউনারদো সান্দ্রি তার স্বাক্ষরিত পত্রে বলেন যে “যদি পাস্কার সময় কোন দীক্ষাস্নান থাকে তাহলে অন্য কোন উপযুক্ত সময়ে তার ব্যবস্থা করেন ।”

পুণ্য সপ্তাহের জন্য ঐশ উপাসনা কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশনা সমূহ :

তালপত্র রবিবার : জেরুসালেমে খ্রিস্ট যিশুর মহা প্রবেশ স্মরণ উৎসব পবিত্র গির্জা ঘরে পালন করতে হবে; ক্যাথিড্রালগুলোতে রোমান মিসেল এর ২য় কাঠামো এবং ধর্মপল্লীতে ৩য়  কাঠামো অনুসরণ করতে হবে ।

অভ্যঞ্জন খ্রিস্টযাগ  : বিশপ সম্মেলনি নিজ দেশের অবস্থা বিবেচনা করে একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পারে ।

পুণ্য বৃহস্পতিবার : পা ধোয়ার অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয় তাই আপাতত বাদ রাখা যেতে পারে । খ্রিস্টযাগের পর খ্রিস্ট প্রসাদ শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত হবে না । পবিত্র খ্রিস্ট প্রসাদ নিয়ম সিন্দুকে রাখতে হবে । এই বিশেষ দিনগুলিতে পুরোহিতগন জনগন ছাড়া উপযুক্ত স্থানে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করতে পারবেন ।

পুণ্য শুক্রবার : সার্বজনীন প্রার্থনায় বিশপগন বিশেষ উদ্দেশ্য প্রার্থনা যোগ করবেন বিশেষভাবে যারা অসুস্থ , মৃত্যুবরণ করেছেন এবং হতাশায় আছেন (cf. Missale Romanum) । ক্রুশ অর্চনায় প্রধান পুরোহিত ছাড়া অন্য কেউ ক্রুশ চুম্বন করবে না ।

মহা রাত্রি নিস্তার জাগরণী :  উদযাপিত হবে শুধু মাত্র ক্যাথিড্রাল ও ধর্মপল্লীর গির্জাগুলোতে । দীক্ষা উপাসনায় কেবল মাত্র দীক্ষা সংকল্প বহাল থাকবে (cf. Missale Romanum) ।   

প্রজ্ঞাপনে শেষে বলা হয়  “এই সময়ে প্রার্থনার জন্য পরিবারগুলো যেন বিশেষ আধ্যাত্মিক যত্ন ও সহযোগিতা লাভ করে সেদিকে বিশপ সম্মেলনি ও ধর্ম-প্রদেশগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে ।”

Add new comment

9 + 5 =