খ্রিস্টধর্ম হলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত

খ্রিস্টভক্তদের প্রথম কাজ ঈশ্বরের দশআজ্ঞা অনুসরণ করা । তবে শুধু আইন ও আজ্ঞা মেনে চলাই খ্রিস্টানদের সব কাজ নয়-সবচেয়ে বড় কথা হলো খ্রিস্টের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করা। ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক রাখা, খ্রিস্টের সাথে সম্পর্ক রাখা মানে এই নয় যে, আমরা সবকিছু করে ফেলেছি। পোপ বলেন, শুধু সম্পর্ক রাখা এক ধরণের “ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী” মাত্র। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, খ্রিস্ট আনন্দের সাথে এবং সম্পূর্ণরূপে  নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।

জাতিসংঘ ঘোষিত আর্ন্তজাতিক পরিরবার দিবসকে উল্লেখ করে পোপ বিশ্বের জনগণকে  বলেন, আমাদের প্রার্থনা করতে হবে, যেনো প্রভুর আত্মার আলোকে পরিবারে ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বাধীনতা বৃদ্ধিলাভ করে।” তিনি বলেন, বিধর্মীদের মধ্যে যারা সম্প্রতি  খ্রিস্টের বাণী গ্রহণ করেছিলেন, তাদের এই কাজকে খ্রিস্টানগণ ভালো চোখে দেখেন নি। তাদের বক্তব্য হলো, খ্রিস্টানদের আসতে হবে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এবং সমস্ত ইহুদি বিধি বিধান মেনে নিয়ে। পোপ বলেন, বিধর্মীদের মধ্য থেকে যারা খ্রিস্টকে বিশ্বাস ক’রে  দীক্ষস্নান গহণ করেছেন, তারা আনন্দচিত্তেই পবিত্র আত্মাকে লাভ করেছেন।”

পোপ বলেন, যেখানে সংস্কার এবং নমীয়নতা নেই, সেখানে ঈশ্বরের আত্মাও নেই, কারণ ঈশ্বরের আত্মা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।” পোপ মনে করেন, আদিকাল থেকে আজোবধি কোনো কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায় প্রকৃত ভক্তদের উপর বাড়তি বিধি নিষেধ আরোপ করে আসছেন- যা একটি সমস্যার কারন বটে।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আজকের দিনেও আমরা দেখছি চার্চের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুব সংগঠিত এবং ভালো কাজ করছে কিন্তু তারা  প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মতো অনমনীয়। কিন্তু তাদের ভিতরে যে দুর্নীতি রয়েছে এবং তারা যে দুর্ণীতির সাথে জড়িত সেটাও আমরা খুঁজে পেয়েছি।” সবশেষে পোপ তার প্রার্থনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঈশ্বর মানুষকে যে প্রজ্ঞা দিয়েছেন তা দিয়ে মঙ্গলবাণীকে ধারণ করতে হবে- অন্যের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র দিয়ে নয়, যার কোনো অর্থ নেই।” 

Add new comment

5 + 0 =