সঞ্চয় স্বাবলম্বন অনুষ্ঠান

আজকের সঞ্চয় স্বাবলম্বন অনুষ্ঠানে আমরা ব্রোকলি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প জানবো। ব্রোকলি দেখতে ফুলকপির মতই, তবে রংটা সবুজ। এর বর্ণ সবুজ বলে অনেকেই এক সবুজ ফুল কপি বলে। চাইনিজ খাবারের ব্যবহৃত অন্যতম প্রধান উপকরণ এই সবজী। বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকের কাছে ব্রোকোলি এখনো তেমন পরিচিত নয়। চমৎকার এই সবজিটি এখন বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে এবং এটি দেশের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোর চাহিদা মিটিয়ে এটি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। পুষ্টির দিক দিয়েও ব্রোকলি অনেক সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, সি এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে এবং এর গন্ধটাও আকর্ষণীয়। ব্রোকলি ফুলকপির মত অত বড় হয় না। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে তারুন্যতা বৃদ্ধি পায়। ব্রোকলি চাষে কিভাবে চারা তৈরি করবেন পাতা পচা সার বা গোবর সার ১ ভাগ, বালু ১ ভাগ ও মাটি ২ ভাগ মিশিয়ে ব্রোকলির বীজতলা তৈরি করতে হয়। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত ব্রোকলির চারা রোপন করা যায়। কম বয়সের চারা দ্রুত বাড়ে। সেপ্টেরম্বর মাসে যখন বৃষ্টি কমে আসে তখন উঁচু জমি দেখে বীজতলা করা যায়। বীজতলায় ১ মিটার চওড়া করে বেড তৈরি করতে হবে। বেডের মাটি ভাল করে কুপিয়ে ঘাস আগাছা পরিষ্কার করে প্রতি বর্গমিটারে ৪ থেকে ৫ কেজি গোবর সার মাটির সাথে মিশিয়ে বেড সমান করে কয়েকদিন রেখে দিতে হবে। আগাম মৌসুমে বৃষ্টি হলে বীজতলায় পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির সময় চারাকে রক্ষা করতে হবে। চারা রোপনের সময় হিসাব করে চারা উৎপাদন করতে হবে। এক হেক্টর জমির চারার জন্য বীজতলায় ২৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম বীজ বুনতে হবে। মনে রাখবেন মাস খানেকের কম বয়সী চারা লাগানো ভাল। লক্ষ রাখতে হবে কখনও যেন বীজতলা একেবারে শুকিয়ে না যায় আবার পানি জমে না থাকে। চারা তোলার পূর্বে বীজতলায় সেচ দিয়ে নিতে হবে। তাহলে চারার গোঁড়া নরম হয়ে আসে এবং বীজ তুলতে সহজ হয়।

Add new comment

20 + 0 =